May 14, 2025
এইচসিজি (হিউম্যান করিওনিক গনাডোট্রোপিন) ইনজেকশন নারীদের ডিম্বাণু নির্গমন (Ovulation) উদ্দীপিত করতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে যারা বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা নিচ্ছেন। এটি শরীরে প্রাকৃতিক এইচসিজির মতো কাজ করে এবং গর্ভধারণে সহায়তা করে।
এইচসিজি ইনজেকশন দেওয়ার ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ডিম্বাণু নির্গত হয় এবং তখন সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে। তাই এই সময়টা গর্ভধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে ধরা হয়।
ইনজেকশনের পরে এবং গর্ভধারণ হলে অনেক নারী হঠাৎ ক্লান্তি বা শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করেন। এটি হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ঘটে এবং এটি গর্ভাবস্থার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
গর্ভাবস্থার শুরুতে স্তন ফুলে যাওয়া, ব্যথা করা বা অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে উঠা একটি সাধারণ লক্ষণ। এইচসিজি ইনজেকশনের প্রভাবেও এই পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
ইমপ্লান্টেশনের সময় হালকা রক্তপাত হতে পারে, যাকে ইমপ্লান্টেশন ব্লিডিং বলা হয়। এই রক্তপাত অনেক সময় মাসিকের মতো মনে হলেও এটি গর্ভধারণের প্রাথমিক ইঙ্গিত।
গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে মর্নিং সিকনেস খুবই সাধারণ। এইচসিজি হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে অনেক সময় বমিভাব বা বমি হতে পারে, বিশেষ করে সকালে।
এইচসিজি ইনজেকশনের পর গর্ভাবস্থার কারণে ইউটেরাসে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায়, ফলে কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং প্রস্রাবের চাপ ঘন ঘন অনুভূত হয়।
হরমোনের দ্রুত পরিবর্তনের ফলে অনেক নারী মুড সুইংস, মন খারাপ বা অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। এটি গর্ভাবস্থার মানসিক লক্ষণের মধ্যে পড়ে।
গর্ভধারণের শুরুতে প্রোজেস্টেরনের প্রভাবে হজম ধীরগতিতে হতে পারে, যার ফলে গ্যাস, পেট ফাঁপা বা বদহজম দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলো এইচসিজি ইনজেকশনের পরে শুরু হতে পারে।
এইচসিজি ইনজেকশনের ফলে শরীরে এই হরমোনের মাত্রা কৃত্রিমভাবে বেড়ে যায়, তাই ইনজেকশনের ১০-১৪ দিন পরে গর্ভাবস্থার টেস্ট করা উচিত, যাতে ভুল পজিটিভ ফল না আসে।
Visit Website