May 14, 2025
গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিমিত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। অতিরিক্ত খাওয়ার পরিবর্তে গর্ভবতী মাকে তিন বেলার প্রধান খাবারের পাশাপাশি হালকা দু’টি নাস্তা খেতে হবে। এতে শিশুর বিকাশ ও মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নয়ন নিশ্চিত হয়।
গর্ভাবস্থায় ফোলেট (folic acid) এবং আয়রন বিশেষভাবে প্রয়োজন। ফোলেট শিশুর নিউরাল টিউব বিকাশে সহায়তা করে, আর আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে। তাই শাকসবজি, ডাল, ডিম, লিভার ও ফোলেট ট্যাবলেট গ্রহণ জরুরি।
এই সময় পর্যাপ্ত পানি পান শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে ও রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখে। দিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত। এছাড়া ডাবের পানি, স্যুপ বা ফলের রসও শরীরে তরলের চাহিদা পূরণে সহায়ক।
চা-কফিতে থাকা অতিরিক্ত ক্যাফেইন গর্ভাবস্থায় ক্ষতিকর হতে পারে। এছাড়া কাঁচা মাছ, আধা সেদ্ধ মাংস বা ডিমে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা গর্ভস্থ শিশুর জন্য বিপজ্জনক।
হাড় ও দাঁতের গঠনে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ। দুধ, দই, ডিমের কুসুম, মাছ, সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকা—সবই ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের উৎস।
গর্ভাবস্থায় হজমজনিত সমস্যা এড়াতে একবারে বেশি খাওয়ার পরিবর্তে দিনে কয়েকবার ছোট ছোট ভাগে খাবার খাওয়া ভালো। এতে অম্বল বা বমিভাব কম হয় এবং রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় থাকে।
প্রোটিন শিশুর কোষ গঠনে সহায়তা করে। ডিম, মাছ, মুরগি, ডাল ও দুধ জাতীয় খাবার থেকে সহজেই প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এগুলো অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
ফলমূল ও সবজি ভিটামিন, খনিজ ও আঁশ সরবরাহ করে। প্রতিদিন ৪-৫ রকমের রঙিন সবজি ও ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা হজমে সহায়ক ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গর্ভাবস্থায় মায়ের দেহে হরমোনের পরিবর্তনে অনেক খাবারে অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে। যেসব খাবার খেলে অস্বস্তি হয়, সেগুলো এড়িয়ে চলা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
সব গর্ভবতী মায়ের শরীরের চাহিদা এক নয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্য পরিকল্পনা করলে সবচেয়ে উপযুক্ত পুষ্টি নিশ্চিত হয়। কোনো সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার আগে চিকিৎসকের অনুমতি নেওয়া উচিত।
Visit Website